Header Ads

Header ADS

একটুখানি তাদাব্বুর (2-5)You have to know and follow



একটুখানি তাদাব্বুর ২


রহমান!

১: আল্লাহ তা‘আলা নাম কয়টি? আমরা জানি ৯৯-টি। আল্লাহর গুণবাচক নামের কি কোনও শেষ আছে? আল্লাহর সিফাত বা গুণের যেমন কোনও সীমা-পরিসীমা নেই, তেমনি আল্লাহর গুণবাচক নামেরও কোনও সীমা নেই।
২: বান্দা যদি আল্লাহ সম্পর্কে কিছুই না জানে, শুধু জানে
ٱلرَّحۡمَـٰنِ ٱلرَّحِیمِ
যিনি সকলের প্রতি দয়াবান, পরম দয়ালু।
তাহলেই বান্দার ইহজীবন কাটিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
৩: বান্দা যদি এই দু’টি নামের মাহাত্ম্য ও অন্তর্নিহিত ভাব অনুভব করতে পারে, দুনিয়াতে তার আর কোনও দুশ্চিন্তাই থাকার কথা নয়।
৪: এই দু’টি নামের প্রতি অগাধ আস্থা স্থাপনের মাধ্যমে বান্দা নিজের জন্য আল্লাহর অফুরান মহব্বতের দরজা খুলে নিতে পারে।
৫: দু’টি শব্দের ‘শব্দমূল’ এক অথচ গঠনটা ভিন্ন। মূলঅর্থ রহমত বা দয়া হলেও, দুই শব্দের ব্যাপ্তি দুনিয়া থেকে আখেরাত পর্যন্ত বিস্তৃত।
৬: বান্দা তার রব সম্পর্কে যেমন ধারণা করবে, রবও তার সাথে ঠিক তেমন আচরণই করবেন। হাদীসে কুদসীতে আছে,
أنا عندَ ظنِّ عبدي بي إنْ ظنَّ خيرًا فله وإنْ ظنَّ شرًّا فله
আমার প্রতি আমার বান্দার ধারণা আনুযায়ী আমি আচরণ করে থাকি। সুধারণা করলে, সেমতে প্রতিদান দেই। কুধারণা রাখলেও তার ধারণামতো আচরণ করি (আবু হুরায়রা রা.। ইবনে হিব্বান ৬৩৯)।
৭: রহমত, দয়া এসব শুনলেই মনে কেমন এক আশাবাদ জেগে ওঠে। শুরুতেই পরপর দুইবার ‘রহমত’-এর ব্যবহার, আশাবাদকে অনেক বেশি বলীয়ান করে। সত্যিই রাব্বে কারীমের রহমতের কোনও সীমা-পরিসীমা নেই। আমরা সেই রহমত লাভের প্রবল আশাবাদী।

একটুখানি তাদাব্বুর ৩
আঁধারে আলো!
-
১: ঘরদোর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছেন। আল্লাহর ফয়সালায় মাছের পেটে চলে গেছেন। চরম অসহায় অবস্থা। ঘুটঘুটে নিকষ অন্ধকার,
فَنَادَىٰ فِی ٱلظُّلُمَـٰتِ
অতঃপর সে (ইউনুস) অন্ধকার থেকে ডাক দিয়েছিল (আম্বিয়া৮৭)।
২: সাগরতলে, মাছের পেটে, গভীরজলের শ^াসরুদ্ধকর পরিবেশেও বাঁচার আশা মিটমিট করে জ¦লতে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা অফুরন্ত আশাপূরণের মালিক। তিনি থাকতে বান্দার আশার প্রদীপ নিভবে কেন?
৩: আমার জীবনজ¦ালার আঁধার যত নিকষ হবে, আমি ততই আল্লাহর রহমতের নিকটবর্তী হতে থাকব। আঁধারের তীব্রতার সাথে সাথে দু‘আ কবুলের সম্ভাবনাও বেড়ে চলবে।
৪: দুঃখ-দুর্দশার আঁধার বাড়ার একটাই অর্থ, আমি আল্লাহর অতি নিকটেই আছি। এই তো আমার দু‘আ কবুল হল বলে।

একটুখানি তাদাব্বুর ৪
উপলব্ধি ও সান্ত্বনা!
-
১: একবোনের কথাটা কথাটা বেশ ভালো গেলেছে। তার গভীর উপলব্ধিটা হৃদয় ছুঁয়েছে। রাস্তাঘাটে কিছু মন্দ পুরুষের অশোভন আচরণে গাড়ি-ঘোড়ায় বোনেরা অতিষ্ঠ। খারাপ লোকগুলোর বিকৃতি রোধ করার কার্যকর কোনও উপায় বের করা যাচ্ছে না।
২: বোনটি বললেন,
‘যখন কোনও পুরুষের বিকৃত আচরণের কথা পড়ি, আর রাস্তাঘাটে বেপর্দা আর অরুচিকর পোশাকে কোনও নারীকে দেখি, প্রথমেই আমার কুরআন করীমের একটি আয়াতের কথা মনে পড়ে,
وَقِفُوهُمۡۖ إِنَّهُم مَّسۡـُٔولُونَ
এবং তাদেরকে একটু দাঁড় করাও। কেননা তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে (সাফফাত ২৪)।
৩: কেয়ামতের দিন অপরাধীদের জান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। নেয়ার আগে দাঁড় করিয়ে হিশেব নেয়া হবে। অপরাধীদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। দুর্বল-অসহায়দের এই আয়াত মনে রাখলেই, মনে সান্ত¡না আসবে। অপরাধীদের চরম দৌরাত্ম্যেও নিজেকে অসহায় মনে হবে না। কারণ তারা একদিন জিজ্ঞাসিত হবেই হবে।

একটুখানি তাদাব্বুর৫


ভালোবাসার তাকিদে মানুষ পাহাড়
মাথায় তুলে নিতেও পিছপা হয় না।
মনের সায় না থাকলে, মানুষ
ছোট্ট দানাও বইতে রাজি হয় না।
.
পৃথিবীর অন্যতম পবিত্র সম্পর্ক!
কুরআন কারীমেও ভাই-বোনের
সম্পর্ককে পরম নির্ভরতার
প্রতীক হিশেবে চিত্রিত করা হয়েছে।



Image may contain: 1 person

কোন মন্তব্য নেই

nicodemos থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.