Daily Life part 1
দিনলিপি-৬
(০২-০৮-১৯)
(০২-০৮-১৯)
তাওবা!
১: কিছু বিষয় থাকে, তাতে কোনও ইতরবিশেষ নেই। সবাই সমান। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে, আল্লাহর দেয়া বাতাস সবাই সমানভাবে অবাধে গ্রহণ করে। আল্লাহর দেয়া পানি সকলেই অবাধে ব্যবহার করে।
২: আমল-ইবাদতের ক্ষেত্রেও একই কথা। কিছু আমল-ইবাদত আছে, কোনও বাছবিছার ছাড়া সবার জন্য প্রযোজ্য।
৩: কুরআন কারীমের আয়াতের বেলায় একই কথা। কিছু আয়াত আছে, কোনও মুসলিমই তার আওতামুক্ত নয়। তেমন একটি আয়াত হল,
تُوبُوۤا۟ إِلَى ٱللَّهِ جَمِیعًا
তোমরা সকলে আল্লাহর কাছে তাওবা কর (নূর ৩১)।
৪: আল্লাহ বলেছেন (جَمِیعًا) সকলেই। কেউ বাকী নেই। এই কুরআনি বাক্যটি সমস্ত আমিত্বকে ভেঙেচুরে তছনছ করে দেয়। প্রতিটি মুসলিম তাওবার মুহতাজ (মুখাপেক্ষী)। কারণ, নবীগন ছাড়া কেউই নিষ্পাপ নয়।
৫: এই আয়াত, আমার মধ্যে তাওবার প্রতি দায়িত্ববোধ গড়ে না তুললে, আমার ঈমানে ঘাটতি আছে বুঝতে হবে। কেউ নিজেকে এই আয়াতের আওতামুক্ত ভাবলে, ধরে নিতে হবে, তার মধ্যে চরম মাত্রার অহংকার বিরাজমান।
৬: তাওবা কি শুধু পাপীর? আমি ইমাম, আমি হুজুর, আমি দাঈ, আমি মুবাল্লিগ, আমি পীর, আমি মুজাহিদ কমান্ডার, আমি গাড়ি নিয়ে ইস্তেশহাদী হতে যাচ্ছি, আমি তাহাজ্জুদগুজার, আমি দানবীর, আমি হাজি, আমি গাজী, আমি যা-ই হই, আমাকে তাওবা করতে হবে। তাওবা করে যেতে হবে।
৭: দুনিয়ার কেউই তাওবার বিধানের আওতামুক্ত নয়। জামী‘আন-সকলকেই তাওবা করতে বলা হয়েছে। আমি বড় হুজুর হলেও, আমাকে নিয়মিত তাওবা করতে হবে। আমি বড় নেতা হলেও, আমাকে সবসময় তাওবার উপর থাকতে হবে। আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতূবু ইলাইহি।
১: কিছু বিষয় থাকে, তাতে কোনও ইতরবিশেষ নেই। সবাই সমান। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে, আল্লাহর দেয়া বাতাস সবাই সমানভাবে অবাধে গ্রহণ করে। আল্লাহর দেয়া পানি সকলেই অবাধে ব্যবহার করে।
২: আমল-ইবাদতের ক্ষেত্রেও একই কথা। কিছু আমল-ইবাদত আছে, কোনও বাছবিছার ছাড়া সবার জন্য প্রযোজ্য।
৩: কুরআন কারীমের আয়াতের বেলায় একই কথা। কিছু আয়াত আছে, কোনও মুসলিমই তার আওতামুক্ত নয়। তেমন একটি আয়াত হল,
تُوبُوۤا۟ إِلَى ٱللَّهِ جَمِیعًا
তোমরা সকলে আল্লাহর কাছে তাওবা কর (নূর ৩১)।
৪: আল্লাহ বলেছেন (جَمِیعًا) সকলেই। কেউ বাকী নেই। এই কুরআনি বাক্যটি সমস্ত আমিত্বকে ভেঙেচুরে তছনছ করে দেয়। প্রতিটি মুসলিম তাওবার মুহতাজ (মুখাপেক্ষী)। কারণ, নবীগন ছাড়া কেউই নিষ্পাপ নয়।
৫: এই আয়াত, আমার মধ্যে তাওবার প্রতি দায়িত্ববোধ গড়ে না তুললে, আমার ঈমানে ঘাটতি আছে বুঝতে হবে। কেউ নিজেকে এই আয়াতের আওতামুক্ত ভাবলে, ধরে নিতে হবে, তার মধ্যে চরম মাত্রার অহংকার বিরাজমান।
৬: তাওবা কি শুধু পাপীর? আমি ইমাম, আমি হুজুর, আমি দাঈ, আমি মুবাল্লিগ, আমি পীর, আমি মুজাহিদ কমান্ডার, আমি গাড়ি নিয়ে ইস্তেশহাদী হতে যাচ্ছি, আমি তাহাজ্জুদগুজার, আমি দানবীর, আমি হাজি, আমি গাজী, আমি যা-ই হই, আমাকে তাওবা করতে হবে। তাওবা করে যেতে হবে।
৭: দুনিয়ার কেউই তাওবার বিধানের আওতামুক্ত নয়। জামী‘আন-সকলকেই তাওবা করতে বলা হয়েছে। আমি বড় হুজুর হলেও, আমাকে নিয়মিত তাওবা করতে হবে। আমি বড় নেতা হলেও, আমাকে সবসময় তাওবার উপর থাকতে হবে। আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতূবু ইলাইহি।
কোন মন্তব্য নেই