Daily Life part 8
দিনলিপি-৮
(৩১-০৭-১৯)
আল্লাহর ভালোবাসা!
১: আমি নিজেকে মুমিন বলে দাবি করি। মুমিনগণই আল্লাহকে ভালোবাসেন। কাফেররা আল্লাহকে ভালোবাসার দাবি করলেও, তা মিথ্যা। কুরআন কারীমে বলা হয়েছে,
وَٱلَّذِینَ ءَامَنُوۤا۟ أَشَدُّ حُبّا لِّلَّهِۗ
তবে যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকেই সর্বাপ্রেক্ষা বেশি ভালোবাসে (বাকারা ১৬৫)।
২: আল্লাহর প্রতি আমার ভালোবাসা কি সত্যি সত্যিই সর্বাপ্রেক্ষা বেশি? আমার কাজকর্ম, আচার-আচরণে কি সেটা প্রকাশ পায়?
৩: কিছু আলামত আছে, তা দিয়ে বোঝা যায়, আল্লাহর প্রতি আমার ভালোবাসা কেমন। মৌলিকভাবে,
ক: ব্যক্তিগত কাজের কারণে বা দুনিয়ার কারণে, ফরয বিধান আদায়ে বিলম্ব করা।
খ: পাপকাজে লিপ্ত থাকা।
গ: হালাল-হারামের ব্যাপারে উদাসীন থাকা।
ঘ: আল্লাহর যিকির থেকে গাফেল থাকা।
৪: এসব আমার মধ্যে থাকলে, বুঝে নিতে হবে, আল্লাহর প্রতি
প্রকৃত ভালোবাসা ছাড়া, আমি নিজেকে মুমিন বলে দাবি করতে পারি না।
দিনলিপি-
(৩০-০৭-১৯)
বিধবার হাহাকার!
-
১: স্বামী মারা গেছেন। সদ্য বিধবা মানুষটা প্রয়াত স্বামীর শোক কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। নিকটাত্মীয়রা অবাক। স্বামীর জন্য শোক অবশ্যই থাকবে। তাই বলে এতটা? এতদিন পরও স্বামীর জন্য লুকিয়ে চুরিয়ে আঁসু মোছা?
২: ‘তানজা’-র একটি ফরাসিমালিকানাধীন কফিশপে কাজ করতেন। তানজা মরক্কোর পর্যটনবহুল একটি শহর। ফ্রান্স আর স্পেন থেকে ¯্রােতের মতো পর্যটক এই শহরে বেড়াতে আসে। অনেক স্পেনিশ বংশীয় মানুষও বাস করে। বিধবা স্বামীর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছেন,
-তার দোকানে সারাদিন ভীড় লেগেই থাকে। ভূমধ্যসাগর ও আটলান্টিকের তীরে অবস্থিত হওয়ার কারণে, এর আকর্ষণে সাগরের ওপার থেকে দলে দলে মানুষ বেড়াতে আসত। এত সুন্দর সুন্দর মানুষের সাথে দিনমানের পুরো সময় কাটালেও, ঘরে এলে তিনি একজন নিতান্ত সেই আগের যুগের গ্রামীন স্বামীদের মতোই থাকতেন। আমার মতো নিতান্ত সাধারণ গোবেচারা মানুষের সাথেও তিনি আচরণ করতেন ‘রাজকন্যার’ মতো। তিনি অনর্গল স্পেনিশ আর ফরাসি বলতে পারতেন। ইংরেজিও পারতেন। চমৎকার কফি বানাতে পারতেন। আমি আমাদের গাঁয়ের বারবারি ভাষা আর আরবী ছাড়া বেশি কিছু পারতাম না। তার মতো গুণী মানুষের ধারেকাছেও ছিলাম না। বিয়ের প্রথম রাতে ঘরে প্রবেশ করেই তিনি বাঁধাই করা একটি আয়াত আমাকে দেখিয়ে বলেছেন,
- আমার শায়খ তোমাকে এটা দেখাতে বলেছেন। শায়খ বলেছেন, আমি যদি এই ‘আয়াতের’ বিপরীত কিছু করি, তাহলে শায়খকে জানাতে।
.
তিনি শাজেলী তরীকার খানকায় যেতেন। বিয়ের আগে পরামর্শ চাইতে গেলে, শাজেলী শায়খই তাকে আয়াতটা মনে রাখতে বলেছেন,
وَعَاشِرُوهُنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِۚ
আর তাদের সাথে সদ্ভাবে জীবন যাপন কর (নিসা ১৯)।
৩: আল্লাহর কসম! আমার স্বামী কখনোই এই আয়াতের বিপরীত কোনও আচরণ আমার সাথে করেননি। আমাকে গালি দেননি। আমার সাথে কখনো কঠোর বা রূঢ় আচরণ করেননি। আমার অশিক্ষিত ‘বারবারি’ পরিবার নিয়েও অসম্মানসূচক মন্তব্য করেননি। অনেক স্বামী দুষ্টুমি করে স্ত্রীকে ক্ষেপানোর জন্য দ্বিতীয় বিয়ের কথা বলে, তিনি তাও করেননি। তিনি আমার জীবনের একমাত্র ও শ্রেষ্ঠতম পুরুষ। আহ, তার সাথে কাটানো জীবনটা কতইনা সুন্দর ছিল!
দিনলিপি-
(৩০-০৭-১৯)
বিধবার হাহাকার!
-
১: স্বামী মারা গেছেন। সদ্য বিধবা মানুষটা প্রয়াত স্বামীর শোক কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। নিকটাত্মীয়রা অবাক। স্বামীর জন্য শোক অবশ্যই থাকবে। তাই বলে এতটা? এতদিন পরও স্বামীর জন্য লুকিয়ে চুরিয়ে আঁসু মোছা?
২: ‘তানজা’-র একটি ফরাসিমালিকানাধীন কফিশপে কাজ করতেন। তানজা মরক্কোর পর্যটনবহুল একটি শহর। ফ্রান্স আর স্পেন থেকে ¯্রােতের মতো পর্যটক এই শহরে বেড়াতে আসে। অনেক স্পেনিশ বংশীয় মানুষও বাস করে। বিধবা স্বামীর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছেন,
-তার দোকানে সারাদিন ভীড় লেগেই থাকে। ভূমধ্যসাগর ও আটলান্টিকের তীরে অবস্থিত হওয়ার কারণে, এর আকর্ষণে সাগরের ওপার থেকে দলে দলে মানুষ বেড়াতে আসত। এত সুন্দর সুন্দর মানুষের সাথে দিনমানের পুরো সময় কাটালেও, ঘরে এলে তিনি একজন নিতান্ত সেই আগের যুগের গ্রামীন স্বামীদের মতোই থাকতেন। আমার মতো নিতান্ত সাধারণ গোবেচারা মানুষের সাথেও তিনি আচরণ করতেন ‘রাজকন্যার’ মতো। তিনি অনর্গল স্পেনিশ আর ফরাসি বলতে পারতেন। ইংরেজিও পারতেন। চমৎকার কফি বানাতে পারতেন। আমি আমাদের গাঁয়ের বারবারি ভাষা আর আরবী ছাড়া বেশি কিছু পারতাম না। তার মতো গুণী মানুষের ধারেকাছেও ছিলাম না। বিয়ের প্রথম রাতে ঘরে প্রবেশ করেই তিনি বাঁধাই করা একটি আয়াত আমাকে দেখিয়ে বলেছেন,
- আমার শায়খ তোমাকে এটা দেখাতে বলেছেন। শায়খ বলেছেন, আমি যদি এই ‘আয়াতের’ বিপরীত কিছু করি, তাহলে শায়খকে জানাতে।
.
তিনি শাজেলী তরীকার খানকায় যেতেন। বিয়ের আগে পরামর্শ চাইতে গেলে, শাজেলী শায়খই তাকে আয়াতটা মনে রাখতে বলেছেন,
وَعَاشِرُوهُنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِۚ
আর তাদের সাথে সদ্ভাবে জীবন যাপন কর (নিসা ১৯)।
৩: আল্লাহর কসম! আমার স্বামী কখনোই এই আয়াতের বিপরীত কোনও আচরণ আমার সাথে করেননি। আমাকে গালি দেননি। আমার সাথে কখনো কঠোর বা রূঢ় আচরণ করেননি। আমার অশিক্ষিত ‘বারবারি’ পরিবার নিয়েও অসম্মানসূচক মন্তব্য করেননি। অনেক স্বামী দুষ্টুমি করে স্ত্রীকে ক্ষেপানোর জন্য দ্বিতীয় বিয়ের কথা বলে, তিনি তাও করেননি। তিনি আমার জীবনের একমাত্র ও শ্রেষ্ঠতম পুরুষ। আহ, তার সাথে কাটানো জীবনটা কতইনা সুন্দর ছিল!
কোন মন্তব্য নেই